,

নবীগঞ্জ পৌরসভায় এক বছর ঘুরে অবশেষে মেয়রের আন্তরিকতায় জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন!

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা আক্তার এক বছর পৌরসভায় ঘুরে অবশেষে ৩ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের সনদ পেলেন। সূত্রে জানা যায়- পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা আক্তার নবীগঞ্জ পৌরসভায় এক বছর হাটি-হাটি করার পর পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর আন্তরিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ৩ সন্তানের সংশোধনী সনদপত্র পেয়ে তিনি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌরসভার কর্মচারী এলেমান আহমেদ চৌধুরীসহ হয়রানী ও দূর্ব্যাবহারকারীদের বিচার প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, ১ বছরেও সন্তানদের জন্ম সনদ সংশোধন করাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে গত সোমবার ২৪ অক্টোবর দুপুরে পৌর কর্মচারী কর্তৃক হয়রানী ও দূর্ব্যাবহারের শিকার মাহমুদা আক্তার নামের এক মহিলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে ৩ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করানোর জন্য পৌরসভায় যান মাহমুদা আক্তার। তখন পৌরসভা থেকে ওই মহিলা ও তার স্বামীর এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং তার সন্তানের আগের নিবন্ধন নিয়ে আসতে বলা হয়। জন্ম সনদ সংশোধনীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেয়ার পর পৌরসভার কর্মচারী এলেমান আহমেদ চৌধুরী এবং বনানী দাশ কথিত বিভিন্ন কাল্পনিক অভিযোগে সময় পেন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলা হয় পৌরসভা কার্যালয়ে সংশোধনের আবেদন নেয়া হয়না। পরে তিনি জানতে পারেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আতাউর রহমান শামীম তার ওসমানী রোডস্থ দোকানে আবেদন করা হয়। একাধিকবার ওইখানে এসেও তিনি আবেদন করতে পারেন নি। দীর্ঘ ১ বছর এভাবেই চলে যায়। এর মাঝেই তার এক নবজাতক মেয়ে জন্মের পরদিন মারা যায় এবং বেশ কিছুদিন অসুস্থ শরীর নিয়ে পৌরসভায় আবেদনের জন্য যান তিনি। সামনে তার মেয়ে ও ছেলের পরীক্ষা। তাদের রেজিস্ট্রেশন এবং ইউনিক আইডি কার্ড তৈরীর জন্য এটা খুব জরুরী। গত ১৮ অক্টোবর পৌর ডিজিটাল সেন্টারে আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ জানান আবেদন হয়নি। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে একটি দোকানে গিয়ে আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ বলে আবেদনটি তাদের কাছে আসেনি। পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার কাজী মঈনুল হোসেন এর কাছে গেলে তিনি বলেন আবেদন হয়েছে, তবে পৌর কর্তৃপক্ষ এপ্রুভ করেনি। পৌরসভায় গিয়ে বললেই হবে। পৌরসভায় গিয়ে প্রথমে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আতাউর রহমান শামীমের কাছে গেলে তিনি বলেন, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামারের কাছে কেন গেলেন। মেয়র মহোদয়ের কাছে গিয়ে উনার স্বাক্ষর নিয়ে আসেন। অনেক অপেক্ষার পর মেয়রের স্বাক্ষর নিয়ে পৌর কর্মচারী এলেমান আহমেদ চৌধুরীর নিকট গিয়ে গেলে উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামারের নিকট কেন গেলেন এবং চরম দুর্ব্যাবহার করেন। পরে আবারও উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার এর কাছে গেলে তিনি ৫ মিনিটের মধ্যেই সবকিছু ঠিক করে দেন। এক পর্যায়ে পৌরসভায় সংশোধিত প্রিন্ট কপির জন্য গেলে প্রিন্টারে সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে ৪/৫ দিন পর আসতে বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি মেয়রের নজরে গেলে তিনি কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তার ৩ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের সংশোধিত কপি প্রিন্ট করে দেওয়ার ব্যাবস্থা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর